গত অক্টোবর থেকে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে শুধু জাতীয় দলেই নয়, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে দেশের মাটিতেও আর পা রাখা হয়নি এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। চলমান বিপিএলে চিটাগং কিংসের স্কোয়াডে থাকলেও, ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারেননি সাকিব।
মাঠের খেলায় অনুপস্থিত হলেও সাকিব নিয়মিতই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছেন। গত শুক্রবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সাকিবকে দলে ফেরানোর বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তবে এই আশার বাণী বাস্তবে পরিণত হবে কিনা, তা জানা যাবে খুব শিগগিরই। ১২ জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে, সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অব্যাহত থাকবে কি না। কারণ ওই দিনই পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দল ঘোষণা হবে।
এদিকে, সাকিব ইতোমধ্যে টি২০ থেকে অবসর নিয়েছেন এবং সেপ্টেম্বর মাসে কানপুর টেস্টের আগে জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল তার শেষ টি২০ ম্যাচ। টেস্ট ক্যারিয়ারও তিনি অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষ করার কথা ভাবছিলেন। তবে আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে একাধিক মামলার মুখে পড়েন, ফলে দেশে ফিরে আসা হয়নি। কানপুর টেস্ট ছিল তার শেষ লাল বলের ম্যাচ।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, সাকিব কি আর জাতীয় দলে ফিরবেন? যদিও তিনি ওয়ানডে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি, তবে তিনি আগেই বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার ইচ্ছা আছে তার।
১২ জানুয়ারি যদি বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে সাকিবের নাম না থাকে, তাহলে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচই তার শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে হবে। তবে যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পান, তাহলে হয়তো এই আসরেই শেষবার জাতীয় দলের জার্সি পরে মাঠে নামবেন।
দলে ডাক আসুক বা না আসুক, শোনা যাচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।